ওপেন রিলেশনশিপে বোঝাপড়া হয় কী ভাবে?

সোশ্যাল মিডিয়া | ফোরপিলার্সবিডি.কম
প্রকাশিত:
ওপেন রিলেশনশিপে বোঝাপড়া হয় কী ভাবে?

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল আসছে প্রেমের সমীকরণেও। বিভিন্ন কারণে ‘ওপেন রিলেশনশিপ’ এখন তরুণ-তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ফেসবুকে নজর রাখলেই চোখে পড়ে, কেউ কেউ দাবি করেছেন, তাঁরা ‘ওপেন রিলেশনশিপে’ আছেন। একগামী সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে বহুগামী সম্পর্কের পথে হাঁটছে যুব প্রজন্ম।

ওপেন রিলেশনশিপ বিষয়টি কী?

সঙ্গীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি না টেনেই, সঙ্গীর সম্মতি নিয়ে তৃতীয় কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোই হল ‘ওপেন রিলেশনশিপ’। ‘ওপেন রিলেশনশিপ’-এ অবশ্য কোনও রাখঢাক নেই। এক সঙ্গীর থেকে অন্য সম্পর্কগুলি লুকোনোর কোনও ঝামেলা নেই। সবটাই খোলা বইয়ের মতো। পশ্চিমের দেশগুলিতে এই প্রকার সম্পর্কের কথা বেশ কিছু বছর ধরেই শোনা যায়। ইদানীং ভারতেও যুগলরা ‘ওপেন রিলেশনশিপ’-এ যাচ্ছেন। ‘ওপেন রিলেশনশিপ’ মানেই কেবল যৌনতা নয়, যুবক-যুবতীরা নিছক ভালোবাসার টানে কিংবা মানসিক ভাবে কারও উপর নির্ভর হয়ে পড়েন এমন সম্পর্কে। প্রত্যেক ‘ওপেন রিলেশনশিপ’-এ একটা নির্দিষ্ট গণ্ডী থাকে, তাঁরা অন্যান্য সঙ্গীর সঙ্গে কেমন সম্পর্কে জড়াচ্ছেন, তা নিয়ে প্রধান সঙ্গীর কাছে স্পষ্ট ধারণাও থাকে।

ওপেন রিলেশনশিপে যাওয়ার আগে কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন?

১) যে কোনও সম্পর্কের মতো ‘ওপেন রিলেশনশিপ’-এর ভীতও বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে। ওপেন রিলেশনশিপে যাওয়ার আগে দু’জনকেই একে অপরের কাছে স্পষ্ট করতে হবে, নিজেদের সম্পর্ক থেকে ঠিক কী চাইছেন দু’জনে। এমনটা হতেই পারে যে, আপনি ঠিক যা চাইছেন, তা আপনার সঙ্গী চান না। ঠিক কেমন হবে দু’জনের সম্পর্কের সমীকরণ, তা খোলাখুলি আলোচনা করে তবেই অন্য সম্পর্কে যান। সম্পর্ক শুরু হওয়ার পরে অন্য কাউকে মনে ধরলে সেটাও সঙ্গীকে সোজাসুজি জানিয়ে ফেলুন।

২) এই ধরনের সম্পর্কে কিন্তু আপনি একাই একাধিক সম্পর্কে যাবেন, বিষয়টা তেমন নয়। আপনার সঙ্গী যখন অন্য সম্পর্কে যেতে চাইবেন, তাতেও কিন্তু আপনাকে সম্মতি দিতে হবে। তাঁর উপর কোনও রকম শর্ত চাপিয়ে দিলে চলবে না।

৩) সম্পর্কে যৌন ঈর্ষা খুবই স্বাভাবিক। ওপেন রিলেশনশিপে কিন্তু এর কোনও জায়গা নেই। আপনার সঙ্গী আপনাকে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন, ততটাই গুরুত্ব অন্য কাউকে দিলে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়লে চলবে না। অনেকেই ভাবেন হবেন না, কিন্তু বাস্তবে এই ঈর্ষাকাতরতাই অনেক ওপেন রিলেশনশিপের সমীকরণ বদলে দেন।

৪) এই ধরনে সম্পর্কে থাকলে যৌনতা নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের সম্পর্কে থাকলে যৌনরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই গর্ভনিরোধক ব্যবহার সম্পর্কে সজাগ থাকা জরুরি।

৫) সম্পর্কে যাওয়ার আগে সময় নিন। নিজেকে বার বার প্রশ্ন করুন, এমন সম্পর্কই আপনি চাইছেন তো? জীবনটা খেলনা নয়, জীবন অনেক দামি। তাই যে কোনও কাজ করার আগে অবশ্যই সময় নিয়ে করুন।

সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের আরও খবর

বরিশালে গ্রেফতার ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি, প্রত্যয় হিরণের প্রতিক্রিয়া

রোববার (২৪ আগস্ট) বিশেষ অভিযানে বরিশাল থেকে জুলাই গণহত্যা মামলার আসামি ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তার গ্রেফতারের পর আরেক ইউটিউবার ও অভিনেতা প্রত্যয় হিরণ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, “ডিবি আমাকে হুদাই ৩২টা দিন ভিতরে রাখে নাই। আজকে বাপ পোলা একসাথে ভিতরে। আল্লাহ দিন শেষে সবাইকে নিজের জায়গা দেখিয়ে দেয়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের করা যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় আফ্রিদি ১১ নম্বর আসামি। মামলায় নাম এসেছে মোট ২৫ জনের, পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। দ্বিতীয় আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তৃতীয় আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলায় ২২ নম্বর আসামি আফ্রিদির বাবা ও মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গত ১৭ আগস্ট গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এদিকে, তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতারের পর জানিয়েছেন তিনি কবর জিয়ারত করতে দাদার বাসায় গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে ভিডিও ও নাটকে জুয়া প্রচারের অভিযোগে ইউটিউবার প্রত্যয় হিরণকেও তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছিল ডিবি পুলিশ।

হিরো আলম বিদায়! নতুন হিরো রিপন মিয়া 

অসচ্ছল পরিবারের সন্তান রিপন মিয়া। তৃতীয় শ্রেণির পর আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। ২০১৬ সালে তার মনে বয়ে যায় ঝড়। কিশোর বয়সের প্রেমের সস্পর্ক ভেঙে যায়। আড়ালে চোখের পানি মুছেছে, কষ্টের কথা কাউকে বলতেও পারেন নি। তিনি বুঝলেন কাঠ মিস্ত্রির জীবনে প্রেম ‘অনেক দূরে’ । খুব বেদনায় কাটছিল সেসময়ের দিনগুলো।

মনের কষ্ট দূর করতে মানুষ কতো কি না করে। কিন্তু রিপন কিছুই ভেবে পায়না। যতোক্ষণ কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতেন, ততক্ষণ সেসব ভুলে থাকতেন। কিন্তু এরপর কষ্টের অন্ধকার যেন তার মনজুড়ে জেঁকে বসতো।

কষ্ট ভুলতে ক্যামেরা সামনে এসে কথা বলতে শুরু করেন রিপন। সেই ভিডিও দেখে কিছুটা হলেও মনটা ভালো হয় রিপন। এরপর রিপন বেছে নেন ভিডিও বানানো।

রিপন মিয়ার ভিডিওগুলো মূলত ছন্দে ছন্দে বলা এক-দুই লাইনের কবিতা, যদিও এর আগে কখনও কবিতা চর্চা করেননি তিনি।

প্রথম ভিডিওটিতে তিনি তার প্রিয়জনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বন্ধু তিনি একা হলে আমায় দিও ডাক, তোমার সঙ্গে গল্প করব আমি সারারাত।”

ভিডিওটি শেষ হয়- তার স্বভাবসুলভ হাসি এবং বিখ্যাত ক্যাচ ফ্রেজ ‘আই লাভ ইউ’ বলে।

রিপনের এই ছোট্ট ছন্দময় বাক্যটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, উৎসাহ পেয়ে আরও এমন ভিডিও বানাতে শুরু করেন তিনি।

সেসময়ের ভিডিওতে রিপন বলতেন, “হাই ফ্রেন্ডস, আমি রিপন ভিডিও”, “বন্ধু তুমি পাখি হলে, আমি হব নীড়”, “তোমার আমার প্রেম দেখতে লেগে যাবে ভিড়” ইত্যাদি।

নেত্রকোনার রিপন মিয়া, পেশায় কাঠমিস্ত্রি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে এভাবে ভিডিও বানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করতে থাকেন। কিন্তু একদিন একটি ভিডিও জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় রিপনের।

গত বছরে অটোপাশের দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও। তাদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছাড়েন রিপন মিয়া।

ভিডিওতে বলেন, “যারা এইচএসসি পরীক্ষা দিতে চাইতাছো না, তারা আমার কাছে চলে আসো কাঠমিস্ত্রির কাম হিকাইদিতাম, দৈনিক ৫০০ টাকা রোজ পাইবা, নেট এন্ড ক্লিয়ার, হাহাহা…. এটাই বাস্তব।”

শিক্ষার্থীদের সেই সময়ের অযৌক্তিক এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রিপন মিয়ার কথা যথেষ্ট যুক্তিসংগত মনে হয়েছিল দর্শকদের। হু হু করে ডিডিওর দর্শক বাড়ে। সেই সঙ্গে রিপন মিয়ার ফলোয়ার বেড়ে যায়।

গত কয়েক মাসে রিপন মিয়া তার বাস্তবধর্মী ও জীবনমুখী কথাবার্তার কারণে নেটিজেনদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন।

কাঠমিস্ত্রির কাজ করতে করতে গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে ঘাম ঝরানো, উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরি, সাইকেল চালিয়ে কাজে যাওয়া, নিজের রান্না করা খাবার পরিবেশন কিংবা মজার ছলে ইংরেজি সংবাদপত্র পড়ার ভান করার মতো সাধারণ দৃশ্যগুলোই তার ভিডিওর মূল বিষয়বস্তু।

কোনো জাঁকজমক কিংবা ‘স্পেশাল অ্যাফেক্ট’ নেই তার ভিডিও ও রিলসে। কিন্তু তারপরও এ সরল জীবনচিত্র দর্শকদের মন জয় করেছে। গত দুই মাসে তার ভিডিওগুলো ২ কোটি বারেরও বেশি দেখা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে তার এক মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী।

কোটি কোটি ভিউ, মিলিয়ন ফলোয়ার থাকার পরও সোশাল মিডিয়া থেকে সেভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন নি রিমন মিয়া। একের পর এক হ্যাক হয়েছে তার অনেকগুলো চ্যানেলে।

রিমন মিয়া বলেন, “লোকেরা আমার কনটেন্ট দিয়ে প্রচুর টাকা বানিয়েছে, কিন্তু আমি এক টাকাও উপার্জন করতে পারলাম না। আমি এখনও একটি জরাজীর্ণ বাড়িতেই থাকি, বাড়ির ভেতর দিয়ে কুকুর হাঁটাচলা করে।”

অনেকবার ঠকে যাওয়া পর একজন মিডিয়া ম্যানেজারের সাথে পরিচয় হয় রিপন মিয়ার, যিনি তাকে আবার নতুন করে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করছেন।

দুজন মিলে এখন পঞ্চাশ-পঞ্চাশ ভাগে লাভ ভাগাভাগি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো পরিচালনা করছেন।

নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া ওই ম্যানেজার বলেন, “রিপন ভাই খুবই সহজ সরল মানুষ। মানুষ তার কাছে এসেছিল, কথা বলেছিল, আর কোনোভাবে তার পেজগুলো হ্যাক করে ফেলেছিল, যেগুলোতে ছিল মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী।”

রিপন মিয়া এখন বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন। ফেসবুকে তার বর্তমানে পেজ দুটি—’খাদক রিপন’ এবং ‘রিপন মিয়া’। ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রামে তার এক মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী হয়েছে।

কিছুদিন হলো, রিপন ও তার ম্যানেজার চ্যানেলগুলো থেকে আয় করা শুরু করতে পেরেছেন।

খ্যাতি এবং কিছু টাকা আসলেও, রিপন এখনও তার গ্রামীণ কাঠমিস্ত্রির জীবনকেই বেশি উপভোগ করেন। তার ভাষ্যে, আমরা গ্রামের মানুষ, কাজ ছাড়া থাকতে পারি না।

রিপন মিয়া এখন পুরোদমে কাঠমিস্ত্রি এবং সেই কাজের ভিডিওই তৈরি করেন। তিনি এখন যেমন আছেন, যেভাবে কাজ করেন, খাওয়া-দাওয়া করেন, ঘুরেন- এসব নিয়ে ভিডিও বানান।

এক ফেসবুক রিল ভিডিওতে রিপন বলেন, “আমি গরমে কাজ করছি। যারা পড়াশোনা করেছে কিন্তু চাকরি পায় না, তারা আমার সাথে যোগাযোগ করুক। আমি তাদের ব্যবসা শিখিয়ে দেব, আর তারা দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা উপার্জন করতে পারবে।”

ভিডিও শেষ করেন তার পরিচিত হাসি আর ‘এটাই বাস্তব’ বলে।

আরেকটি ভিডিওতে তাকে গরমে রান্না করতে দেখা যায়। আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, “আমাদের মা-বোনেরা এমন কষ্টে রান্না করেন, কিন্তু আমরা তাদের কষ্ট বুঝতে চাই না। একটি ভিডিওতে তাকে চশমা পরে সাইকেল চালিয়ে যৌতুক বিরোধী ক্যাম্পেইন চালাতেও দেখা যায়।”

গত বছরের জুন মাসে পিএসসি ড্রাইভার আবেদ আলীর অবৈধ সম্পদের খবর দেশজুড়ে আলোচনা তৈরি করে। রিপন এনিয়ে একটি ভিডিওতে বলেন, “আবেদ আলীর মতো আমিও ড্রাইভার হতে চাই, কিন্তু তোমার মনের, আই লাভ ইউ।”

যখন এক ইসলামি বক্তা ‘মেসেজ ড্রপ’ শব্দটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করে ভাইরাল হন, রিপন তাকে অনুসরণ করে তার চিরচেনা হাসি দিয়ে বলেন, “সকাল সকাল তোমাকে একটা মেসেজ ড্রপ করতে চাই— আই লাভ ইউ।”

পুরোনো কিছু ভিডিওতে কিছু আপত্তিকর বা অশালীন শব্দ চোখে পড়তে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে রিপন মিয়া নিজেকে পরিবর্তন করেছেন এবং আরও পরিণত হয়েছেন, যা তাকে আরও বেশি দর্শকের মনোযোগ এনে দিয়েছে।

আজকে ককটেল দিবস

বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি, ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার মজাটাই আলাদা। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, সেখানে আবার আজকাল পানীয় না থাকলে চলে না। আসর জমে উঠলে হালকা ‘ককটেল’ চুমুকে সন্ধ্যাটা যে জাস্ট রকিং পর্যায়ে চলে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। 

 

আজ ১৩ মে, বিশ্ব ককটেল দিবস। দিবসটি বিশ্বব্যাপী উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। ১৮০৬ সালের ১৩ মে ককটেলের প্রথম সংজ্ঞা প্রকাশের তারিখ চিহ্নিত করে দিবসটি উদ্‌যাপন করা শুরু হয়।

 

প্রসঙ্গত, জেমস বন্ডের সবচেয়ে পছন্দের ককটেলের সেলিব্রেশন হিসেবে সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। ক্লাসিক ককটেল, মার্টিনি বানানো হয় জিন ও ভেরমাউথ দিয়ে। তবে এর নানারকম ভেরিয়েশন রয়েছে। বর্তমানে এই আইকনিক ও ট্র্যাডিশনাল ককটেলে টুইস্ট আনতে নানারকম পরীক্ষা করেন বারটেন্ডাররা। 

 

নিউ ইয়র্ক ট্যাবলয়েড দ্য ব্যালেন্স অ্যান্ড কলম্বিয়ান রিপোজিটরি ককটেলকে ‘একটি উত্তেজক মদ, যে কোনো ধরনের স্পিরিট, চিনি, জল এবং তিক্ত পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। 

ইউটিউবে নতুন চ্যানেল খুলেছেন? কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখলে কম দিনেই সাবস্ক্রাইবার বাড়বে?

ইউটিউবের হাত ধরে বদলেছে বিনোদনের সংজ্ঞা। দৈনন্দিন জীবন থেকে হরেক কিসিমের রান্না— নানা স্বাদের বিনোদনমূলক ভিডিয়ো দেখতে পাওয়া যায় ইউটিউবের পর্দায়। ফলে ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে ইউটিউবের দর্শক সংজ্ঞা। শুধু দর্শক হিসাবেই নয়, এখন অনেকেই ইউটিউবকে উপার্জনের মাধ্যম হিসাবেও ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ইউটিউবার হওয়ার একটা ঝোঁক তৈরি হয়েছে। ইউটিউবার হওয়ার জন্য প্রথমে ইউটিউবে একটি নিজস্ব চ্যানেল তৈরি করতে হয়। এবং বিনোদনমূলক ভিডিয়ো বানিয়ে সেই চ্যানেলে রাখেন ইউটিউবারেরা। সফল ইউটিউবারের মাপকাঠি কিন্তু একমাত্র সাবস্ক্রাইবার। যাঁর চ্যানেলের সদস্যসংখ্যা যত বেশি, সেই চ্যানেল তত জনপ্রিয়। তা ছাড়া, চ্যানলের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে ইউটিউব সংস্থাও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটিকে বেশি টাকা দেয়। তাই প্রথম ইউটিউব চ্যানেল তৈরির দিন থেকেই সদস্যসংখ্যা কী ভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে চেষ্টা করা জরুরি। কিন্তু সেটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধির বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে। কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখলে ইউটিউব চ্যানেলের সদস্যসংখ্যা হু হু করে বাড়বে?

ভিডিয়োর গুণমান

ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হল ভিডিয়োর ‘কন্টেন্ট’। ভিডিয়োর বিষয়টি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আকর্ষণীয় কিন্তু রুচিসম্মত, এমন ভিডিয়ো দর্শক বেশি পছন্দ করে। এ ছাড়াও, আর কয়েকটি বিষয় আছে। ভিডিয়ো বেশি দীর্ঘ না করাই ভাল। ভিডিয়োটি ঝকঝকে হওয়া জরুরি। এবং শব্দ প্রক্ষেপণ ভাল হতে হবে। আপনার চ্যানেলের ভিডিয়োর যদি এই গুণগুলি থাকে, তা হলে সদস্যসংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা যায়।

ধারাবাহিকতা

প্রতিটি কাজেই ধারাবাহিকতা থাকা জরুরি। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই। সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধির অন্যতম একটি ধাপ হল নিয়মিত ভিডিয়ো আপলোড করা। রোজ ভিডিয়ো আপলোড করলে আপনার চ্যানেল নিয়ে দর্শকের আগ্রহ তৈরি হবে।

সমাজমাধ্যমে প্রচার করুন

নিজের চ্যানেলটি সম্পর্কে সমাজমাধ্যমে প্রচার করুন। তা হলে আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে। চ্যানেলের লিঙ্ক সমাজমাধ্যমে দিয়ে দিতে পারেন। তা হলে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে।

আকর্ষণীয় শিরোনাম

আপনার ভিডিয়োর শিরোনাম দেখেই দর্শক ঠিক করবেন সেটা আদৌ তাঁরা দেখবেন কি না। তাই ভিডিয়োর শিরোনাম সব সময়ে চটকদার এবং আকর্ষণীয় হতে হবে। এমন কিছু লিখতে হবে, যা দেখে দর্শকের আগ্রহ তৈরি হবে।